আজ ২৩শে জুন ২০১৬ইং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৬৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী।
১৯৪৯ সালের ২৩শে জুন স্বামীবাগের রোজ গার্ডনে আওয়ামী লীগের (পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ) জম্ম হয়েছিল।
গণতান্ত্রিক ভাবে জম্ম নেওয়া গণমানুষের সেই প্রিয় দল আওয়ামী লীগের আজ ৬৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী।আতাউর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে সভাপতি, শামছুল হক কে সাধারণ সম্পাদক এবং কারাবন্দী শেখ মুজিব কে এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করে নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করে।সম্মেলনে দলের নাম দেওয়া হয় আওয়ামী মুসলিম লীগ।পরদিন ২৪শে জুন ঢাকার আরমানিটোলা ময়দানে প্রকাশ্য জনসভায়র মাধ্যমে আওয়ামী লীগের যে আন্দোলনের কর্মসূচী শুরু হয়, দীর্ঘ ৬৭ বছরে তার বিরাম নেই। বহু ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে কখনো বিরোধী দলে, কখনো সরকারে থেকে দেশ গঠনে অনন্য অবদান রেখে চলেছে মাটিও মানুষের প্রিয় রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ মানেই বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূলধারা। আওয়ামী লীগ মানেই সংগ্রামী মানুষের প্রতিচ্ছবি।বাংলাদেশের কাদা-মাটি গায়ে মাখা খেটে খাওয়া মানুষের কাফেলা।অতীতের মতো বাংলাদেশের ভবিষ্যত ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য ভাবে যুক্ত। স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা, সর্বশেষ সামরিক স্বৈরশাসন থেকে গনতন্ত্রে উত্তোরনের প্রতিটি অর্জনের সংগ্রাম-লড়াইয়ে নেতৃত্বদানকারী একটি রাজনৈতিক দল, তা হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।বাঙালি জাতির প্রতিটি অর্জনেরও দাবিদার প্রচীন ও সুবিশাল এ রাজনৈতিক দলটির ।
ভাষা আন্দোলন, গণআন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন, স্বাধীনতা যুদ্ধ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের ইতিহাসের পাতার পরতে পরতে একটিই নাম আওয়ামী লীগ।সব পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের হার না মানা নেতৃত্ব। এই দলের নেতাকর্মীদের ত্যাগ তিতিক্ষা ও অঙ্গীকারদীপ্ত সংগ্রামী ভূমিকা ইতিহাসবিদিত। স্বভাবতই বাংলাদেশ নামক জাতিরাষ্ট্রের নির্মাতা আওয়ামী লীগের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। সামান্য বিচ্যুত কিংবা ব্যর্থতার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তারা।
যে মহান নেতার হাতে গড়া ত্যাগ ও আত্মোৎসর্গ আর্দশের বলীয়ান আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে লাখো বাঙালি হাঁসতে হাঁসতে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন দেশমাতৃকার জন্য, প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছর পর স্বভাবতই মানুষের প্রশ্ন জাগে সেই আর্দশ ও ত্যাগের মহিমা কী এখনো জাগ্রত আছে দলটির কোটি কর্মী সমর্থকদের মাঝে? নাকি সময়ের বিবর্তনে আর্দশ থেকে একটু বিচ্যুত ঘঠেছে।এত বছর পর উপমহাদেশের প্রচীন ও বৃহৎ এই ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলটির নীতি-আর্দশ, সাফল্য-ব্যর্থতার হিসাব মেলাচ্ছেন দেশের মানুষ। তবে প্রায় ৩৫বছর ধরে নিরবিচ্ছিন্ন নেতৃত্ব দিয়ে, মৃত্যুভয়কে ছিন্ন করে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক ভাবধারায় আস্হার প্রতীকে পরিনত হয়েছেন এবং আওয়ামী লীগ কে কোটি কোটি মানুষের প্রানের সংগঠনে পরিনত করতে সক্ষম হয়েছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক পথ পরিত্রুমায় অনেক ঘাত-প্রতিঘাত, চড়াই-উতরাই ও প্রাসাদসম ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দলটি আজ এদেশের গনমানুষের ভাব-ভাবনার ধারকবাহকে পরিনত হয়েছে। অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক ভাবধারার আস্হার প্রতীকে পরিনত হয়েছে দলটি।জম্মের পর থেকে অর্ধশতাব্দীর ও বেশি সময় ধরে ঐতিহ্যবাহী দলটি বেঁচে আছে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে।জম্ম লাভের পর ইতিহাসের রেকর্ড ভঙ্গ করে টানা দ্বিতীয়বারের মতো তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি আসনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ এখনও রাষ্ট্রক্ষমতায় প্রায় আড়াই বছর পার করছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে উপহার দিয়েছেন মহামূল্যবান স্বাধীনতা। তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনা ভূমিধস বিজয় নিয়ে গতবার ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মানে নিরলস ভাবে কাজ করে যাওয়ার পাশাপাশি পিতার মতোই ভারত ও মিয়ারমারের সঙ্গে আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে ঐতিহাসিক সমুদ্র বিজয়ের মাধ্যমে বাঙালি জাতি কে উপহার দিয়েছেন উন্নয়ন-অগ্রগতি ও ডিজিটালাইজড নতুন প্রজম্মের উপযুক্ত বাংলাদেশ সর্বশেষ ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক স্হল সীমান্ত চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে দীর্ঘ ৬২বছর পর ছিটমহলবাসীকে দিয়েছেন স্বাধীনতার স্বাদ।
আওয়ামী লীগের জম্মলাভের পর মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ‘৫৪সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে,’৬৬নির্বাচিত সালের ঐতিহাসিক ৬দফা, ৬৯সালের গনঅভ্যুত্র্থান এবং ৭০ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে এই দলের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ত্রুমশ এগিয়ে যায় স্বাধীনতার দিকে। এই দলের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।বিশ্ব মানচিত্র স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ নিজেদের স্হান দখল করে।আর এসব আন্দোলনের পুরোধা ও একচ্ছত্র নায়ক ছিলেন ইতিহাসের মহানয়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজকে সারা বাংলাদেশ যে উন্নয়ন ও অগ্রগতি হচ্ছে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, ইনশআল্লাহ আগামীতেও অব্যাহত থাকবে যদি প্রানের সংগঠন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে এবং দেশরত্ন যদি বেঁচে থাকে কেউ আমাদের কে হারাতে পারবেনা। বঙ্গবন্ধুর জম্ম না হলে যেমন আওয়ামী লীগের জম্ম হতনা আর আওয়ামী লীগের জম্ম না হলে আজ কে বাংলাদেশের ও জম্ম হতনা তাই বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ আর আওয়ামী লীগ একই সূত্রে গাঁথা। বাংলার মানুষের আশা-আখাঙ্খা পুরনো যুগ যুগ ধরে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।এই দলটির ভবিষ্যৎতে আরো সফলতা কামনা করি।
শুভেচ্ছান্তে:-
তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী সেলিম
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
আবুধাবী আওয়ামী লীগ।
সাবেক ছাত্রনেতা লাকসাম নওয়াব ফয়েজুন্নেছা সরকারী কলেজ শাখা।